চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা ছবি সহ ২০২৪
পূর্বের সব কাজে চিঠি লেখার প্রচলন থাকলেও এখন প্রাতিষ্ঠানিক কারণে চিঠি লেখা ছাড়া প্রায় সব ধরনের চিঠির প্রচলন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে চিঠি প্রায় বিলুপ্ত হলেও চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা আমাদের সবার জেনে রাখা প্রয়োজন। দূরে অবস্থিত কোন ব্যক্তির কাছে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য চিঠি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
![চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা](https://ebangla.net/wp-content/uploads/2024/05/চিঠি-লেখার-নিয়ম-বাংলা-1-1024x534.jpg)
সাধারণত এখনো যেসব চিঠি প্রচলিত রয়েছে সেগুলো হল: ব্যক্তিগত চিঠি, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক চিঠি, সংবাদপত্রে প্রকাশিত চিঠি, প্রশাসনিক বা সরকারি চিঠি, অভিনন্দন পত্র, আমন্ত্রণ ও নিমন্ত্রণ পত্র, সামাজিকতা সংশ্লিষ্ট পত্র এবং প্রেমপত্র। বৈষয়িক এবং প্রশাসনিক চিঠিপত্র লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তাই আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সূচিপত্র
এছাড়াও পড়ুন: বাংলা সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবিসহ নমুনা ২০২৪
ব্যক্তিগত চিঠি লেখার নিয়ম
ব্যক্তিগত চিঠিপত্র সাধারণত প্রিয়জনকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়। তাই এক্ষেত্রে তেমন কোন ফরমালিটি মেইনটেইন করার দরকার হয় না। ব্যক্তিগত চিঠিপত্রে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আপনার প্রিয়জন যে কথাগুলো পছন্দ করে সেগুলো লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন কঠিন এবং দুর্বোধ্য শব্দচয়ন করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি আপনি একাডেমিক পরীক্ষায় ব্যক্তিগত চিঠি লিখতে চান তাহলে সহজ এবং সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।
বৈষয়িক বা ব্যবহারিক চিঠিপত্র লেখার নিয়ম
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বৈষয়িক বা ব্যবহৃত কিছু পত্র এর প্রচলন রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ সম্পাদনের জন্য বৈষয়িক বা ব্যবহৃত কিছু পত্র লেখার প্রয়োজন হয়। একে “আধুনিক চিঠিপত্র” হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বৈষয়িক বা ব্যবহারিক চিঠি পত্রকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো:
- আবেদন পত্র
- আমন্ত্রন বা নিমন্ত্রন পত্র
- সংবাদ পত্রে প্রকাশের পত্র
- ব্যবসায়িক পত্র
- মানপত্র বা অভনন্দন পত্র।
বৈষয়িক বা ব্যবহারিক পত্রের কাঠামো
এই ধরনের চিঠি পত্রের সাধারণত দুইটি কাঠামো থাকে। সেগুলো হলো:
- পথের ভিতরের অংশ বা পত্রগর্ভ,
- পত্রের শিরোনাম বাহিরের অংশ।
পত্রগর্ভ বা পত্রের ভিতরে অংশ
যে ব্যক্তি পত্রটি লিখছেন সে ব্যক্তি তার মনের ভাব পত্রের যে অংশে প্রকাশ করেন তাকে পত্রগর্ভ বলা হয়ে থাকে। একে চিঠি পত্রের মূল অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রত্যেকটি চিঠি সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে পত্র গর্ভে। অংশগুলো হল:
- মঙ্গলসূচক শব্দ উচ্চারণ: প্রত্যেকটি চিঠি পত্রের শুরুতে মঙ্গলসূচক চিহ্ন উচ্চারণ করতে হয়।
- লেখক এর ঠিকানা ও তারিখ: পত্রগর্ভের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে লেখকের ঠিকানা এবং তারিখ উল্লেখ করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়: ২০১, মিরপুর, ঢাকা। তারিখঃ ১০/২/২০২৪ ইং।
- সম্বোধন করা: পত্রগর্ভের মধ্যে সম্বোধন সূচক শব্দ যেমন: শ্রদ্ধেয় বাবা, প্রিয় মা, শ্রদ্ধেয় বড় আপা ইত্যাদি।
- মূল বক্তব্য প্রদান: সালাম এবং সম্বোধন সূচক শব্দ উচ্চারণ করার পরে চিঠির বিবরণ লিখতে হবে।
- বিদায়ী সম্ভাষণ: সর্বশেষে বিদায় সম্ভাষণ যেমন “ইতি” উল্লেখ করতে হবে।
তোমার বন্ধু,
শুভার্থী, আপনার আদরের কার্তিক ইত্যাদি।
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
চিঠি লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সব ধরনের চিঠিতে ফরমালিটি মেইনটেইন না করতে হলেও চিঠির কয়টি নিয়ম জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেই চিঠি লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ:
- চিঠি শুরু করার সময় আকর্ষণীয় শব্দ ব্যবহার করতে হবে। এতে করে পাঠকের মনোযোগ চিঠির উপর নিবিষ্ট থাকবে শেষ পর্যন্ত।
- চিঠি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শুদ্ধ ভাষায় লিখতে হবে।
- চিঠি শুরু থেকে পথগর্ভ এবং বিদায় সম্ভাষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে নিয়মকানুন মানতে হবে।
- খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চিঠি শেষ করতে হবে, বিনা প্রয়োজনে চিঠির আয়তন বাড়ানো যাবে না।
পত্র/ চিঠি লিখার সাধারণ নিয়ম
পত্রবত চিঠি লেখার সময় কয়েকটি সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। পত্র/ চিঠি লিখার সাধারণ নিয়ম হল:
- চিঠির মধ্যে অবশ্যই পত্র লেখার স্থান এবং পত্র কত তারিখ পাঠাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে,
- শুদ্ধ এবং চলিত ভাষায় চিঠিপত্র লেখা শেষ করতে হবে,
- চিঠির মাঝখানের বক্তব্য খুবই সাধারণ এবং সংক্ষিপ্তভাবে ভাবে লিখতে হবে,
- চিঠি শেষের দিকে পত্র লেখক এর নাম এবং স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে,
- প্রাপকের নাম এবং ঠিকানা খামের উপর উল্লেখ করতে হবে।
চিঠির খাম লেখার নিয়ম
![চিঠির খাম লেখার নিয়ম চিঠির খাম লেখার নিয়ম](https://ebangla.net/wp-content/uploads/2024/05/চিঠির-খাম-লেখার-নিয়ম-1024x534.jpg)
চিঠি লেখার টুকিটাকি নিয়ম সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। চলুন এখন চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক:
চিঠির খাম সাধারণত বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাবেই লেখা যেতে পারে। বাংলা চিঠির খাম লেখার সময় খামের উপরে বাম দিকে প্রেরকের সকল তথ্য লিখতে হবে। তাই চিঠির উপরে বাম দিকে পেরকের নাম, তার পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং পোস্টকোড লিখতে হবে। বামদিকে লেখা শেষ হলে খামের ডান দিকে প্রাপকের সকল তথ্য ইনক্লুড করতে হবে। খামের ডানদিকে প্রাপকের ঠিকানা, পোস্ট কোড বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। প্রাপকের সকল তথ্য যদি সঠিকভাবে ইনক্লুড না করা হয় তাহলে চিঠি অন্য কোন ঠিকানায় চলে যেতে পারে। তাই উদাহরণস্বরূপ খাম লেখার নিয়ম বাংলা তুলে ধরা হলো:
প্রেরক,
মোঃ তিথি সাহা
পিতা- ……. সাহা
গ্রাম – ওয়াবদা, পোস্ট অফিস– পাগলাপীর-৫৪০০
উপজেলা – কুমিল্লা সদর, জেলা – খুলনা।
প্রাপক,
মোঃ শামীমুর রহমান
পিতা – মোঃ আব্দুর জব্বার
গ্রাম – কিশোর লতা, পোস্ট – পাগলাপীর-৫৬০০
উপজেলা – রুপসা, জেলা – খুলনা।
পড়ে সকল নিয়ম অনুসরণ করে খামের প্রাপক এবং প্রেরকের ঠিকানা লিখতে হবে। অতঃপর খাম জমা দেওয়ার আগে পোস্ট অফিস এর নাম এবং পোস্ট কোড উল্লেখ করতে হবে। খামের উপরে সব ঠিকানা ঠিকঠাক ভাবে লেখা হলে অতি দ্রুত আপনার চিঠি কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছে যাবে।
বৈষয়িক বা ব্যবহারিক চিঠিপত্রের নমুনা
এলাকায় টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন।
তারিখঃ ১১/১০/২০২৪ ইং
বরাবর,
উপজেলা চেয়ারম্যান
তিলক, রুপসা, খুলনা।
খুলনা
বিষয়ঃ তিলক গ্রামে টিউবয়েল স্থাপনের জন্য একটি আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি তিলক গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মোঃ শামীমুর রহমান আপনার কাছে পত্র লিখছি কিছু টিউবয়েল স্থাপনের জন্য। আপনি জেনে ব্যথিত হবেন যে, গত পাঁচ বছর যাবৎ আমাদের সম্পূর্ণ গ্রামে মাত্র একটি টিউবওয়েল ছিল। কিন্তু গত ১৫ দিন যাবত সেই টিউবয়েলটিও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে গ্রামের মহিলারা তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে শুতেও খাবার পানি নিয়ে আসছে। এটি তাদের জন্য ভয়ানক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আমাদের গ্রামের টিউবয়েল ছাড়া খাবার পানির আর কোন উৎস নেই। এখন আমাদের পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য নতুন টিউবয়েল স্থাপন অথবা পুরনো টিউবওয়েল মেরামত করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাদের গ্রামের ছোট শিশু, বৃদ্ধ এবং সর্বোপরি গ্রামবাসীর কথা বিবেচনা করে অতিসত্বর আমাদের গ্রামে একটি টিউবয়েল স্থাপন করুন।
নিবেদক,
তিলক গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে,
তিথি সাহা।
ব্যক্তিগত চিঠি লেখার নমুনা
এলাহি ভরসা
২১০, মিরপুর, ঢাকা।
তারিখ: ১০/১০/২০২৩ ইং
শ্রদ্ধেয় বাবা,
আশা করি তুমি ভালো আছো। তুমি যেন আশ্বস্ত হবে যে আমার জ্বর ইতোমধ্যে কমে গিয়েছে এবং আমি আগের থেকে সুস্থ বোধ করছি। তবে আমি তোমাদেরকে পত্র লিখতে পারছি না নিয়মিত কারণ আমার বার্ষিক পরীক্ষা আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে। তাই আমি লেখাপড়া নিয়ে খুবই ব্যস্ত রয়েছি। নভেম্বরের ১০ তারিখ আমার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে। এর আগে আমার পক্ষে বাসায় আসা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি, বাসা ভাড়া এবং আমার হাত খরচ বাবদ ৫০০০/=টাকা প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে আমি ২০০০ টাকা টিউশনি থেকে জোগাড় করেছি। আমার এখনো তিন হাজার টাকার প্রয়োজন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার তিনদিন আগে টাকাটা পাঠালে আমার পক্ষে সুবিধা জনক হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে বাড়িতে আসতে পারছি না এবং নিয়মিত আপনাদের চিঠি দিতে পারছিনা বলে মন খারাপ করবেন না। আমার জন্য আম্মাকে দোয়া করতে বলবেন। ছোট ভাইবোনদের আমার ভালোবাসা দেবেন। সর্বোপরি আমি আপনাদের সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
ইতি,
আপনার স্নেহভাজন পুত্র,
মোহাম্মদ শামিমুর রহমান।
প্রেমের চিঠি/ ভালোবাসার চিঠি
প্রিয় তটিনী,
তুমি তো জানো তোমাকে দেখার কোন সুযোগ আমি হাতছাড়া করি না। তোমাকে না দেখে কাটাবো এমন একটি দিন আমি কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু তোমাকে আজ তিনদিন আমি চোখে দেখা ও দেখতে পাচ্ছি না। তুমি কেমন আছো? তোমাকে একবার দেখার লোক আমি কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছিনা। প্রিয় তটিনী, আর কেউ না জানুক তুমি তো জানো, আমার এই দুঃখময় জীবনে একমাত্র সুখের কারণ তুমি। তোমাকে ছাড়া আমি গভীর নির্জনে প্রতিনিয়ত ডুবে যাই। তোমার মুখখানি দেখলে আমার সকল হাহাকার ঘুচে যায়। তুমি আমার হৃদয়ের প্রতি সেকেন্ডে বাস কর। তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো তা জানি না। হে হৃদয় হরিণী, প্লিজ প্লিজ একবার দেখা দাও।
ইতি,
তোমার ই ভালবাসার সৌরভ।
বাংলায় অফিসিয়াল চিঠি লেখার নিয়ম
ব্যবসায়িক চিঠি:
মোঃ হামিদুর রহমান,
ব্যবস্থাপক,
একেএস ফেব্রিক্স লিমিটেড,
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
জনাব,
আমি আপনাকে খুবই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গত সপ্তাহে আমাদের অনুষ্ঠিত বার্ষিক পর্ষদের সভায় আপনি যে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছিলেন সেই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে জুনিয়র ফেব্রিক্স লিঃ গ্রহণ করেছে। তারা তাদের বাৎসরিক সকল ধরনের ফেব্রিক্স এর চাহিদা মেটাতে আমাদের কোম্পানিকে সিলেক্ট করেছে। আপনি যে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছিলেন তার বিবরণ সবাইকে খুশি করতে পেরেছে। জুনিয়র ফেব্রিক্স লিমিটেড আমাদের কোম্পানির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছে। আমরা আশা করছি, এই এক বছর তাদের সাথে বিশ্বস্ততার সহিত কাজ করলে পরবর্তীতে আমরা তাদের কাছ থেকে আরো বড় ডিলারশিপ পাব।
মাননীয় ব্যবস্থাপক, জুনিয়র ফেব্রিক্স লিমিটেড এর সাথে পরবর্তী সকল আলোচনা সম্পন্ন করার জন্য আমাদের কোম্পানি থেকে একজন লোক পাঠাতে হবে। আপনি আপনার পছন্দমত একজন কর্মকর্তা বাছাই করুন এবং আমাদের কোম্পানির মূল্য সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে বলুন। আমরা কি পদ্ধতিতে পেমেন্ট গ্রহণ করি এবং আমরা কি কি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করব তা আমাদের কর্মকর্তা তাদের বুঝিয়ে বলতে সমর্থ হবেন।
মহোদয়, আমাদের কোম্পানি গত দশ বছর যাবত সকল রকমের পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। আশা করছি আমরা এই সেক্টরে ও খুবই বিশ্বস্ততার সহিত কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
আপনার বিশ্বস্ত,
মোঃ শামীমুর রহমান
ব্যবস্থাপক
একেএস ফেব্রিক্স গ্রুপ
মিরপুর ঢাকা।