নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য দেয়ার নিয়ম ২০২৪

প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবীনদের বরণ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিয়ে থাকেন সাধারণত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সিনিয়র ভাই অথবা বোন, নবীনদের পক্ষ থেকে কোন একজন শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষকরা নবীনদের উদ্দেশ্যে যে স্বাগত বক্তব্য দেন, তা শিক্ষার্থীদের সামনের দিনগুলোকে আরো সুন্দর করে তোলে।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে শিক্ষকের বক্তব্য

আপনি যদি সামনে কোন নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে চান, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ বক্তব্য দেওয়ার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নার্ভাসনেস কাজ করে এবং আমরা বুঝতে পারি না কখন এবং কোথায় কি বলতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন যাত্রা শুরু করার জন্য একজন শিক্ষকের বক্তব্য দারুন ভূমিকা রাখে। শিক্ষকদের হৃদয় এবং মনে সুন্দর প্রভাব বিস্তার করার জন্য আমাদের আজকের বক্তৃতাগুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে চলুন দেরি না করে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য হতে পারে নিম্নরূপ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আজকের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি,প্রধান অতিথি ও বিশেষ

অতিথিবৃন্দ দের জানাই আমার পক্ষ হতে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং সালাম। আজকের এই অনুষ্ঠান উপস্থিত আছেন আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষকবৃন্দ। এখানে উপস্থিত আছে শিক্ষা আহরণ করতে আসা নতুন জ্ঞানপিপাসুরা, যাদের কলরবের মুখরিত হতে চলেছে আমাদের শিক্ষাঙ্গন। আপনাদের সবার উদ্দেশ্যে একটি কবিতা কয়েকটি লাইন খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছে:

এসেছে শত পুষ্পের দল

করেছি তাঁদের বারণ

হাতে হাতে শোভা পাবে

তাঁদের দেওয়া মন ।

বিশাল এই পৃথিবীতে

সৃষ্টি হয়েছে সব,

সেই সৃষ্টির বরণে হচ্ছে কলরব।

আমাদের আজকের এই সীমিত আয়োজন এর মধ্য দিয়েই আমরা তোমাদেরকে বরণ করে নিচ্ছি। তোমাদেরকে বরণ করার জন্য আমরা আহামরি কোন আয়োজন না করলেও, তোমাদের জন্য আমাদের ভালবাসার কোন কমতি নেই। তাইতো বলতে ইচ্ছে হচ্ছে:

নেই আয়োজন নেই আবরণ,

কি দিয়ে তোমাদের করিবো বরণ ।

পেতেছি তাই হৃদয়ে আসন,

তোমাদের বরিব বলে।।।

তোমরা তোমাদের বিদ্যালয়ের ছোট গন্ডি পেরিয়ে এসেছ আমাদের এই সুবিশাল প্রান্তরে। আমাদের এই কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে তোমরা পৌছাবে আরো উচ্চতর প্রাঙ্গনে। তোমাদের এই স্বপ্নীল যাত্রাপথের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত বোধ করছি। আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে তোমাদের জানায় উষ্ণ অভিনন্দন এবং প্রাণঢালা ভালোবাসা। এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শুভাগমন হোক তোমাদের জ্ঞান চর্চার একটি সুন্দর সম্ভার। তোমাদের উদ্দেশ্যে শেষে বলতে চাই :

প্রতিদিনই নবীন বাড়বে প্রবীন হবে সবাই

আদর্শকে পুঁজি করে থাকবো মোরা ভাই ভাই ।

রোগে শোকে কাতর হলে

আসবে সবাই দলে দলে

করবে সবাই জয়,

আমরা তোমাদের পাশে

থাকবো নেইকো যে আর ভয়।।।।

আমি আর কথা বাড়াবো না, সর্বশেষে তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। সবাইকে আসসালামুয়ালাইকুম।

নবীনদের উদ্দেশ্যে শিক্ষকের কিছু কথা

নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেয়ার নিয়ম

নবীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষকের বক্তব্য সাধারণ কোন বক্তব্য নয়। বরং এই বক্তব্য হতে পারে অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত করার একটি অনন্য সুযোগ। সারা জীবন শিক্ষার্থীদের মনে একটি স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই বক্তব্যটি। নবীনদের উদ্দেশ্যে শিক্ষকের বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো:

১) শিক্ষার্থীদের চোখে চোখ রেখে কথা বলা

সম্পূর্ণ বক্তৃতা জুড়ে শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের চোখে চোখ রেখে বক্তৃতা প্রদান করা। এতে করে শিক্ষার্থী দের কিরুপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা শিক্ষক খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের যদি বক্তব্য ভালো লেগে থাকে তাহলে সে সেটা চালিয়ে যেতে পারে অথবা যদি খারাপ লাগে তাহলে বক্তব্য তে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন।

২) শারীরিক ভঙ্গি সঠিক রাখুন

বক্তৃতা দেওয়ার সময় একটু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল শিক্ষকের শারীরিক ভঙ্গি। শিক্ষকের শারীরিক ভঙ্গি যদি সঠিক থাকে অনেক সময় খুব সাধারণ বক্তব্য ও শুনতে অসাধারণ লাগে। তাই শিক্ষকের উচিত সুন্দর অঙ্গভঙ্গি বজায় রেখে সম্পূর্ণ বক্তব্য শেষ করা।

৩) উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা

অনেক পারদর্শী বক্তারাও অনেক ক্ষেত্রে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ এর মধ্যে পড়েন। এক্ষেত্রে আপনার অনুষ্ঠান এবং বক্তৃতা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলেও বক্তৃতা আপনি ভালোমতো সম্পন্ন করতে পারবেন না। তাই উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন।

৪) বক্তৃতার মাঝে হাস্যরস বজায় রাখুন

বক্তৃতার মাঝে সুন্দর ছোট কবিতা, একটি গানের চার লাইন অথবা অনুষ্ঠানের সাথে রিলেটেড এমন চার লাইনের ছন্দ বলতে পারেন। এতে করে শ্রোতারা তাদের মনোযোগ হারাবে না এবং সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান জুড়ে আপনার প্রতি তাদের মনোযোগ বজায় থাকবে।

৫) ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন

বক্তব্যের মাঝামাঝিকে শিক্ষকেরা চাইলে তাদের ব্যক্তিগত কোন অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। এই বিষয়গুলো শুনতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ইন্টারেস্টেড থাকে, এবং শিক্ষক এর কোন অভিজ্ঞতা তাদের পরবর্তী জীবনে কাজে লাগতে পারে।

৬) আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন

শিক্ষার্থীরা সবসময় শিক্ষকদের অনুসরণ করে থাকেন এবং তাদের মত আচরণ করতে চান। শিক্ষক যদি বক্তব্যের সময় নার্ভাস হয়ে পড়েন এটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই শিক্ষকেরা মঞ্চে প্রবেশ করার সাথে সাথেই নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবেন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শেষ করবেন।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বড় ভাইদের বক্তব্য

নবীন পরম অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের পাশাপাশি বড় ভাইয়েরা ও বক্তৃতা প্রদান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে নবীন বরন অনুষ্ঠানে বড় ভাইদের বক্তব্য নিন্ম রূপ হতে পারে:

প্রিয় অনুজ ভাই ও বোনেরা, আমাদের এই শিক্ষাঙ্গনে তোমাদের জানাই স্বাগতম। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে দ্বিতীয় পরিবারের মত। আমরা আমাদের পরিবারের মতোই আমাদের শিক্ষকদের এবং এই প্রতিষ্ঠানকে ভালবাসি। এর প্রমাণ তোমরা ধীরে ধীরে পাবে। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং সুখ্যাতি ধরে রাখার দায়িত্ব একমাত্র আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানকে উপহার দিয়ে থাকি সুন্দর ফলাফল। আমরা আশা করি, এ ধারা তোমরাও অব্যাহত রাখবে।

তোমরা যেকোনো ধরনের সমস্যায়‌ আমাদের নির্দ্বিধায় সব কথা খুলে বলবে। আমরা তোমাদের সমস্যার সমাধানে সর্বদা তৎপর থাকবো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ যেকোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক না কেন তোমরা তোমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এবং কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠানের কোন বদনাম অথবা কারো সম্পর্কে কোন কটু কথা প্রতিষ্ঠানের বাইরে কাউকে বলবেনা। এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য এবং সুখ্যাতি ধরে রাখার দায়িত্ব তোমাদের এবং আমাদের সবার।

প্রিয় নতুন ভাই ও বোনেরা, আমি আমার বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। আমি তোমাদের সুন্দর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে আজকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ তোমাদের এবং আরো ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে এই বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ যারা করে দিয়েছেন তাদেরকে। সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।

নবীন ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে শিক্ষকের নমুনা বক্তব্য

আমার প্রাণপ্রিয় নবাগত ছাত্র ও ছাত্রীরা, আমাদের প্রতিষ্ঠানে তোমাদের স্বাগত জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। তোমাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে থাকলো হৃদয়ের নিংড়ানো ভালোবাসা এবং স্নেহ।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা হয়তো ইতোমধ্যেই শুনেছ যে আমি অপূর্বে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে পরবর্তীতে আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হয়েছি। আমাদের বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করছে। আমাদের বিদ্যালয় থেকে যেসব শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছেন তাদের মধ্যে এখন কেউবা ডাক্তার, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা চিত্রশিল্পী, কেউবা রাজনীতিবিদ। সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করছেন এমন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।

নবীন বন্ধুরা, আমাদের বিদ্যালয় থেকে পাশ করে যেসব প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বের হয়েছে তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম এখন স্বগর্ভে উচ্চারণ করে। তাই তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে সুদীর্ঘ সুনাম এবং খ্যাতি। এবং এই খ্যাতি বজায় রাখার দায়িত্ব যেমন আমাদের ঠিক তেমন তোমাদেরও। আমরা আশা করব, আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ন্যায় তোমরাও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা, শিক্ষকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তোমাদের শিক্ষাজীবন শেষ করবে।

তোমরা ইতোমধ্যে জেনেছ যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ফলাফল অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ ভালো। এই সুন্দর ফলাফল বজায় রাখার দায়িত্ব তোমাদের। তোমাদের নতুন প্রাণ শক্তি এবং অমিত সম্ভাবনা আমাদের বিদ্যালয় গৌরব আরো সমুন্নত করবে বলে আমরা আশা করি। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে তোমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাও। কবির ভাষায় লেখা একটি কথা আজ খুব মনে পড়ছে:

প্রতিদিনই নবীন বাড়বে প্রবীন হবে সবাই

আদর্শকে পুঁজি করে থাকবো মোরা ভাই ভাই ।

রোগে শোকে কাতর হলে

আসবে সবাই দলে দলে

করবে সবাই জয়,

আমরা তোমাদের পাশে থাকবো

নেইকো যে আর ভয়♥️

হে নতুন কান্ডারীরা, তোমাদের জ্ঞান সাম্রাজ্যের দুর্বার গতিবেগ আরো প্রবাহিত করো দেশ এবং দেশের বাইরে। তোমাদের উজ্জীবিত ভাবধারায় রঙিন হয়ে উঠুক অনেক অবহেলিত মানুষের জীবনের দৃশ্যপট। তোমাদের এই নবাগত প্রাঙ্গণের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে তোমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে একটি কবিতা পাঠ করার মাধ্যমে আমি আমার আজকের বক্তব্য শেষ করছি।

তোমরা এসেছ, ভেঙেছ অন্ধকার

তোমরা এসেছ, ভয় করি নাকো আর ।

পায়ের স্পর্শে মেঘ কেটে যাবে,

উজ্জ্বল রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়বে বহুদূর-বহুদূর ।

  • কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।

আমার প্রিয় নবাগত বন্ধুরা, তোমরা বিশ্ব মানবতার কল্যাণে নিজেদের সকল বুদ্ধি ও চেতনা বিলিয়ে দাও। তোমাদের নতুন জীবন হোক সাফল্যমন্ডিত। আলোকিত এ নতুন ভুবনে তোমাদেরকে স্বাগত জানিয়ে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ তোমাদেরকে আমার বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য, এবং ধন্যবাদ প্রতিষ্ঠানের অতিথি বৃন্দকে আমাকে বক্তৃতা প্রদানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রের বক্তব্য

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ করে প্রাক্তন ছাত্ররা নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছুটা সৌজন্যমূলক বক্তৃতা দিতে পারেন। তারা যাতে সারা জীবন সৎ পথে থেকে সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন সে সম্পর্কে বড়রা তাদের ধারণা দিতে পারে। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রের বক্তব্য কেমন হবে তা নিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি তেল ইতিমধ্যে একটি নমুনা প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি এই নমুনা করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন নবীদের উদ্দেশ্যে সিনিয়রদের বক্তব্য ঠিক কেমন হবে।

সিনিয়ররা যখন নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয় তখন সেই বক্তৃতার মাঝে সে নবীনদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। সিনিয়র ভাই অথবা বোনেরা তাদেরকে বলতে পারেন যে “তোমরা তোমাদের লক্ষ্যে অবিষ্ট থাকো”। এবং তোমাদের লক্ষ্য পূরণ পূরণ করতে যা সাহায্য লাগবে তা আমাদের নির্দ্বিধায় বলবে। এই ধরনের স্বাগত বক্তব্য পেশ করে আপনি নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য শেষ করতে পারেন।

পরিশেষে

আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরেছি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য কেমন হবে সে সম্পর্কে। নবীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এমন কোন কথা বলবেন না যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ হয়। তারা যাতে মনে আনন্দ নিয়ে আপনাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করতে পারে সে দায়িত্ব আপনাদের। এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় যেসব প্রতিজ্ঞা করবেন সেই প্রতিজ্ঞা গুলো পরবর্তীতে মেনে চলার চেষ্টা করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই পোস্টটি সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিয়ে কোনো গ্যারেন্টি আমরা দিচ্ছি না। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ সম্পূর্ণ আপনার নিজের ঝুঁকিতে নিবেন। এই পোস্টের ফলে হওয়া যেকোনো ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More