বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বাংলা সংক্ষিপ্ত ২০২৪

পৃথিবীতে সব কিছুর যেমন শুরু আছে তেমনি শেষও আছে। “বিদায়” শব্দটি সবসময় আমাদের হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তোলে। সময়ের সাথে সাথে‌ কাজের অথবা পড়ালেখার সবার সাথে যে মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা বিদায় এর মাধ্যমে শেষ হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে সবার মন ভারাক্রান্ত থাকলেও সবাইকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেই হয়।

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বাংলা সংক্ষিপ্ত

তাই শেষের এই দিনে আপনি আপনার সহপাঠী অথবা সহকর্মীদের জন্য একটি বিদায়ী বক্তব্য দিতে পারেন। আপনার মনের গোপন ব্যথা প্রকাশ করার এটি সবথেকে ভালো মাধ্যম হতে পারে। বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য জেনে নিন বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বাংলা,‌ বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম, বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম, স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য, ছন্দ ও কবিতা এবং বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যতে কি করবেন না ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনার সামনে যদি বিদায় অনুষ্ঠান থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার বিদায়ী বক্তব্য দিতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

এছাড়াও পড়ুন: নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য দেয়ার নিয়ম ২০২৪

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য ধারাবাহিকভাবে পেতে হলে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি স্ক্রল করুন। বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সঠিক ভাবে দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে বক্তব্য দিতে হবে। কারো কোন সাহায্য ছাড়া সাবলীল ভাষায় বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রথমে বক্তব্য একটি খাতায় নোট করুন। বিদায় অনুষ্ঠানের সময় কয়েকটি ছন্দ আপনি খাতায় নোট করে নিতে পারেন। নিচে সেগুলো সম্পর্কে বলা হলো:

১) বিদায় শব্দটি খুবই কষ্টের এবং ভয়ানক অভিজ্ঞতার। এখন সময় এসেছে সহপাঠী/ সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার। আজকের এই দিনে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে কত শত স্মৃতি, আমাদের খুনসুটি। যেগুলো মনে পড়লে চোখের পানি বাঁধ মানে না। বিদায় মাঝে যে মনঃকষ্ট বিদ্যমান তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।

২) ঐশী ইলমের জামিয়ায় ইবতিদাইয়্যাহ জামাতে ভর্তি হয়েছিলাম এবং মনে মনে ভেবেছিলাম দারুল হাদিস পড়ার জন্য আমার হাতে অনেক সময় রয়েছে। কিন্তু দেখতে দেখতে সখ্যতা, ভালোবাসা, গভীর মহব্বত এর মাধ্যমে কখন যে ৯ টা বছর পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। পৃথিবীর শাশ্বত নিয়ম “বিদায়” মেনে নিয়েই আজ তোমাদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

৩) হে প্রিয় বন্ধু! তোমাদের মনে পড়বে একাকি বিকেলে, গোধূলি সন্ধ্যায়, জোনাকি জ্বলা রাতের প্রহরে। কোন রাতে যদি আনন্দের স্মৃতি ঘুম কেড়ে নেয় তাহলে তার কারণ থাকবে তোমরা। আমার প্রতিটি গল্প জুড়েই তোমরা ছিলে, আছো এবং থাকবে। তোমাদের প্রতি থাকলো নিখাদ ভালোবাসা। অভিযোগ শূন্য হৃদয় নিয়ে তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

৪) কারো ক্ষতি না করে তার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার হলো সব থেকে সুন্দর বিদায়। কারো প্রতি অভিযোগ না রেখে ধৈর্য ধারণ করাকে সবথেকে সুন্দর ধৈর্য বলা হয়।

  • শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া।

৫) তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে মনকে শক্ত করে নিয়েছি। এবং মেনে নিয়েছি পৃথিবীর সকল নিষ্ঠুরতা কে‌ উপেক্ষা করে পৃথিবীর শাশ্বত নিয়ম মেনে নিতে হয়। হৃদয় সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে তোমাদের জানাই আলবিদা… আলবিদা।

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য প্রদান করার সময় নিজেকে স্মার্ট ভাবে সবার সামনে তুলে ধরুন। চলুন এক নজরে দেখে নেই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম:

ধাপ ১: শুভেচ্ছা বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রবেশ করার আগে নিজেকে স্বাভাবিক রাখুন। কোনোভাবেই নার্ভাস ফিল করবেন না, এবং মনে মনে চিন্তা করুন এরা সবাই আপনার সহকর্মী অথবা সহপাঠী। এবং বক্তব্যের শুরুতে কিছুটা শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করুন। শুভেচ্ছা বক্তব্যতে যা যা বলবেন-

  • আমাদের আজকের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি, সভাপতি, সকল শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠী দের জানাই সালাম। এবং ছোটদের জানাই ভালোবাসা।
  • যিনি আমাকে আজকের এই বিদায়ী বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তার প্রতি জানাই প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা।
  • শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য এই পর্যায়ে একটি ছোট বিদায়ী কবিতা বলতে পারেন।

ধাপ ২: প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

সংক্ষিপ্ত আকারে শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষ করার পরে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অল্প কথায় কিছু বলবেন। এখানে আপনার কাটানো সবচেয়ে ভালো স্মৃতি বিজড়িত দিন অথবা সময়ের কথা বলতে পারেন। আপনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে কি কি উপকারিতা পেয়েছেন তা অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরুন। এক্ষেত্রে তারা তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর জন্য আগ্রহী হবেন।

ধাপ ৩: শিক্ষকদের সম্পর্কে বলুন

এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে পড়ায় এবং কিভাবে সময়ের মধ্যে পাঠদান শেষ করে তা অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আপনার শিক্ষকেরা আপনার সাথে পিতা-মাতার মতো আচরণ করেছে এটি বক্তব্য তে তুলে ধরুন। শিক্ষকদের সম্পর্কে বলার শেষ পর্যায়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

ধাপ ৪: অভিভাবক ও সহপাঠীদের সম্পর্কে

বক্তব্যের এই পর্যায়ে সহপাঠী এবং অভিভাবক উভয়কে ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ তারা ধৈর্য ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। সন্তানদের সঠিক পথে আনার জন্য মা-বাবার অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলতে পারেন। এবং সহগতিদের উদ্দেশ্যে বলুন তাদের সাথে আপনি কতটা ভালো সময় কাটিয়েছেন।

ধাপ ৫: ছোটদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

বিদায় অনুষ্ঠানে ছোটদের একটি ভূমিকা থাকে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাবেন। পরবর্তীতে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু উপদেশমূলক কথা বলতে পারেন। যেমন:

  • ভালোভাবে পড়াশোনা করার কিছু টিপস,
  • শিক্ষকদের এবং পিতা-মাতার দিকনির্দেশনা মেনে চলা সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন।

বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম

আপনার বক্তৃতা সবার কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা নির্ভর করে আপনি বক্তৃতা শুরুর প্রথম অংশে কি বলছেন তার উপর। বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম গুলো হল:

  • বক্তব্য শুরু করার প্রথম লাইনে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে শুরু করতে হবে। উপস্থিত সভাপতি, শিক্ষক ও শিক্ষিকা, সহপাঠী দের উদ্দেশ্যে বলবেন আপনাদের প্রতি রইল আমার সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা ও সালাম। এবং আপনাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।
  • সালাম এবং মতবিনিময় শেষ করার পর ছোট একটি ছন্দ অথবা কবিতা সবার উদ্দেশ্যে বলার চেষ্টা করবেন। কে ছন্দ অথবা কবিতা বলবেন সেটি যেন আবেগঘন হয় তার উপর খেয়াল। বিদায় অনুষ্ঠানের শুরুতে আবেগঘন একটু ছন্দ অথবা কবিতা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
  • সম্পূর্ণ বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত এবং ইন্টারেস্টিং রাখার চেষ্টা করবেন। কেউ যেন আপনার বক্তব্য শুনে বিরক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সম্পূর্ণ বক্তব্যটি যদি ইমোশনাল হয় তাহলে এটি অবশ্যই শ্রোতাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করবে।
  • বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে আবার সালাম দিবেন। এবং বক্তব্যের মাঝামাঝি অংশে শিক্ষক, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান এবং সহপাঠীদের সম্পর্কে প্রশংসামূলক বাক্য বলার চেষ্টা করবেন।

মনে রাখবেন, বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সব সময় বিনয়মূলক হওয়া জরুরী। এখানে নম্রতা বজায় রেখে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে হবে। কাউকে কোনোভাবেই মনে আঘাত দিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। বিদায়ী বক্তব্য দেওয়ার আগে আপনি আপনার বক্তব্যের একটি নমুনা তালিকা তৈরি করুন। এবং সেটি বারবার পর্যবেক্ষণ করুন যে এখান থেকে কোন কথা কারও মনে কষ্ট দিতে পারে কিনা! প্রয়োজন হলে কিছু কথা বাদ দিতে পারেন।

Ssc বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,

আসসালামু আলাইকুম,

বক্তব্যের শুরুতেই আমি মঞ্চে উপস্থিত মাননীয় সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি বৃন্দ, আমার দীর্ঘদিনের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ এবং সহপাঠীদের জানাচ্ছি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

এই দিনটা আমাদের জীবনে আসবে আমরা তা সবাই জানতাম, কিন্তু এই দিনটি যে এতটা বেদনাবিধুর হবে তা আন্দাজ করতে পারিনি। তবে আমরা এটাও জানি যে, এই বিদায় আমাদের সম্ভাবনার দোয়ার খুলে দিবে। এই বিদায়ের পরই আমরা সাফল্যের আর এক ধাপে পৌঁছবো। সামনের দিনের উচ্চতর শিক্ষার হাতছানি এবং নিজেদেরকে যোগ্য করে তোলার জন্য আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজ মনে পড়ছে, কিছুদিন আগে আমাদেরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি সেজে উঠেছিল সাজ সাজ রবে। হাটি হাটি পা পা করে আমাদের বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা একটি কবিতার কয়েকটি লাইন আজ বারবার মনে পড়ছে-

এসেছে নতুন শিশু,

তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ,

মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে

চলে যেতে হবে আমাদের,

চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ

দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে

পৃথিবীর সবার জঞ্জাল।।।

আমরা চেষ্টা করব এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে রাখার জন্য। আমাদের সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম জুড়ে শিক্ষকদের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য তারা যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছেন সে স্বপ্ন যেন আমরা সার্থক করতে পারি।

তোমাদের স্মৃতি অন্তরে রেখেই প্রিয় সহপাঠী ও স্নেহের অনুজ দের ভালোবাসা জানিয়ে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি। বক্তব্যটি শেষের পর্যায়ে আরো দুটি কবিতার লাইন আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই-

হয়তো আমার এ পথে আর

হবে নাকো আসা

দুয়ারে যাই রোপন করে বুকের ভালোবাসা ।

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য

 আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে আমার সহকর্মী এবং আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে তোমাদের বিদায় দেওয়ার জন্য আমরা আজ তৈরি হয়েছি। তবে জেনে রেখো এই বিদায় শুধুমাত্র তোমাদের সামনের জীবনে অগ্রসর হওয়ার জন্য সাময়িক বিদায়। তোমরা থেকে যাবে আমাদের মনের মনিকোঠায়। এই বিদায়ের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের আগামীর ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পারবে বলে আশা করি। দীর্ঘ ১০ টি বছর পরিশ্রম করে তোমরা আজ এই ধাপে উন্নীত হয়েছে। আমি তোমাদের সামনের পরীক্ষার জন্য শুভকামনা জানাই। আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো তোমরা জ্বলতে থাকো আপন মহিমায়। এই বলে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য, ছন্দ ও কবিতা

১) বিদায় চাই বিদায় দাও,

এই তো হল প্রথা। মনে রেখো বন্ধুরা,

আমি অধমের কথা।।।

২) বছরের দিন মাস সবই বদলায়

মানুষ বদলে যায়, মানুষের মনের সমীকরণও বদলে যায়।

এভাবেই বছরের পর বছর ঘুরে আসে বিধায় অনুষ্ঠান।

৩) এক বিষন্ন বিকেলে বিদায় নেব

শালিকের সুরে সুর মেলাবো,

আমি দূরে চলে গিয়ে

আড়াল থেকে তোমাদের ভালোবাসবো।।।

৪) ‘বিদায় প্রিয়’ বলে আজ এ পথ হারাবো

হঠাৎ করে একদিন মনে পড়বে

ফিরে কি আসা যাবে তোমাদের বাহুডোরে।

৫) বন্ধুত্ব মিশে থাকে অন্তরের অতল গুহায়

আমার হৃদস্পন্দন জানে

বন্ধুরা আমার কত প্রিয়!

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যতে কি কি করবেন না?

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যতে তেমন কিছু কিছু জিনিস আপনার বক্তব্যকে সুন্দর করে দিতে পারে তেমন কিছু জিনিস আপনার বক্তব্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। চলুন জেনে নেই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য তে কি কি করবেন না?

  1. বেশি উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন,
  1. ব্যক্তিগত কোন রাগ বিদায় বিদায়ী বক্তব্য তে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন না,
  1. শিক্ষক অথবা প্রধান অতিথি ছাড়া ঘন ঘন কারো প্রশংসা বিদায় বক্তব্যতে রাখবেন না,
  1. শিক্ষকদের প্রশংসা করলে সবার প্রশংসাই করবেন। নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষকের প্রশংসায় এখানে করা যাবে না,
  1. কোন ধরনের রাজনৈতিক বিষয়বস্তু এখানে উপস্থাপন করবেন না,
  1. প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক এমনকি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে নেগেটিভ কথা বলা যাবে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই পোস্টটি সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিয়ে কোনো গ্যারেন্টি আমরা দিচ্ছি না। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ সম্পূর্ণ আপনার নিজের ঝুঁকিতে নিবেন। এই পোস্টের ফলে হওয়া যেকোনো ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More