ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশ ও ই পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। ফলে IELTS পরীক্ষায় অংশ নিতে, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অথবা বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে e-Passport ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে যখন-তখন চাইলেই ই পাসপোর্ট বানানো সম্ভব নয়।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম, এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য

এক্ষেত্রে আপনার বিদেশ ভ্রমনের ইচ্ছা থাকলে আগে থেকেই ই-পাসপোর্ট তৈরি করে রাখতে হবে। ঘরে বসেই ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা সম্ভব। কিন্তু ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন একবারই করা সম্ভব। তাই আবেদন করার পর যদি কোন ভুল হয় তাহলে দ্বিতীয়বার সংশোধন করার কোন সুযোগ পাবেন না।

আজকের এই পোস্টে আমরা ই-পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম, ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা, ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করব। চলুন তাহলে ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্র

ই-পাসপোর্ট কী ?

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পাদন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্ট এর নাম হলো “পাসপোর্ট”। এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টে বাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ছবি ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। এক সময় হাতে লেখা পাসপোর্ট প্রচলিত থাকলেও ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে।

e-passport হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট এর সাথে ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত করা থাকে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্ট বাহকের যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত করা থাকে। এখানে যেসব তথ্য যুক্ত করা হয় সেগুলো হল:

  • চোখের আইরিশ তথ্য,
  • দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপের তথ্য,
  • তিন ধরনের ছবি সংযুক্ত থাকে।

এই সমস্ত তথ্য থাকায়, কর্তৃপক্ষ পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে পাসপোর্টধারির সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হন। ফলে এখানে জালিয়াতির কোন সুযোগ থাকে না।

এছাড়াও পড়ুন: জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। চলুন এক নজরে দেখে নেই ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

  • অনলাইনে আবেদনের কপি,
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার,
  • জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদ,
  • স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র,
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,
  • পূর্ববর্তী কোনো পাসপোর্ট থাকলে তার অরিজিনাল কপি জমা দিতে হবে,
  • পেশাগত সনদের প্রমাণপত্র,
  • চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদ।

তবে ই-পাসপোর্ট করার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO অথবা NOC এর প্রয়োজন হয়। তবে বয়স এবং তার পেশার উপর নির্ভর করবে ই-পাসপোর্ট করার সময় আরো কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ লাগবে কিনা! কেউ যদি চুরি হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে চান তবে জিডির কপি থানায় দাখিল করতে হবে। আশা করছি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ।

এছাড়াও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন যাচাই

ই-পাসপোর্ট চেক

বর্তমানে এসএমএস এর মাধ্যমে ১০ সেকেন্ডেই ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট চেক করা সম্ভব। ই-পাসপোর্ট চেক করার জন্য Application ID ব্যবহার করতে হয়। আপনার ই-পাসপোর্ট এর যে ডেলিভারি স্লিপ রয়েছে তার উপরের অংশে Application ID পেয়ে যাবেন।

এখান থেকে সরাসরি মোবাইলের মেসেজ অপশনে চলে যান। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন EPP <space>Application-ID এবং পাঠিয়ে দিন 16445 নাম্বারে। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার মোবাইলে ই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা জানিয়ে একটি মেসেজ পাঠানো হবে।

ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন

আমরা নিচে ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক:

ধাপ ১: ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন

ধাপ ১: ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন

ই-পাসপোর্ট এর যাবতীয় কাজ সম্পাদন করার জন্য আপনাকে প্রবেশ করতে হবে https://www.epassport.gov.bd/onboarding? এই লিংকে। এখান থেকেই ধাপে ধাপে আপনাকে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

ধাপ ২: বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করছেন কিনা তা সিলেক্ট করুন

ধাপ ২: বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করছেন কিনা তা সিলেক্ট করুন

এখানে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনি বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করছেন কিনা? এখান থেকে ‘Yes’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।

ধাপ ৩: আঞ্চলিক অফিস এবং থানা সিলেট করুন

উপরের চিত্রের ন্যায় আপনার জেলা এবং থানা সিলেক্ট করতে হবে।

ধাপ ৪: ইমেইল ভেরিফিকেশন করুন

ধাপ ৪: ইমেইল ভেরিফিকেশন করুন

এখানে আপনার কাছে ইমেইল এড্রেস জানতে চাওয়া হবে। ইমেইল এড্রেস বসিয়ে “I am a human” অপশনটিতে ক্লিক করুন। সবার শেষে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫: পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন

ধাপ ৫: পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন

উপরের চিত্রের ন্যায় ইমেইল এড্রেস বসানোর জন্য আরও একটি অপশন আসবে। এবং সেখানে পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। পরবর্তীতে কনফার্ম এর জন্য আবার পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন।

ধাপ ৬: ব্যক্তিগত তথ্য যুক্ত করুন

ধাপ ৬: ব্যক্তিগত তথ্য ইনক্লুড করুন

উপরের চিত্রের মত আপনার কাছে আপনার ব্যক্তিগত সব ধরনের তথ্য জানতে চাওয়া হবে। নির্ভুলভাবে সবগুলো তথ্য বসিয়ে দিন।

এই পর্যায়ে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করলে ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

সরকারি চাকরিজীবীরা ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চাইলে একটু ভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। অর্থাৎ তাদের একটি ডকুমেন্ট বেশি প্রয়োজন হয়। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় NOC (No Objection Certificate) জমা দিতে হয়। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের আর কোন বাড়তি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না।

তাছাড়া ই-পাসপোর্ট করার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের Go (Government Order) দাখিল করতে হয়। এটা হল সরকারি অনুমতিপত্র। অর্থাৎ সরকারের অনুমতি ব্যতীত তারা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

সরকারি চাকরিজীবীদের NOC সংগ্রহ করতে হয় সাধারণত বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে। সরকারি চাকরিজীবী যে বিভাগ বা অধিদপ্তরের কর্মরত রয়েছেন সেখান থেকে NOC সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা সম্ভব। এই অনুমতিপত্র ব্যতীত সরকারি চাকরিজীবীরা দেশের বাইরে যেতে পারেন না।

এছাড়াও পড়ুন: খতিয়ান অনুসন্ধান

শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদের ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। শিশুর যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড থাকে না তাই এক্ষেত্রে তার বাবা মায়ের ভোটার আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।

পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করার পাশাপাশি পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ও কর্তৃপক্ষ চাইতে পারেন। তবে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। চলুন এক নজরে দেখে নেই শিশুদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

  • শিশুর জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন অনলাইন কপি,
  • শিশুর পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের মূলকপি অথবা ফটোকপি,
  • পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন সামারি,
  • ই-পাসপোর্ট এর অনলাইন ফর্ম,
  • ফি পরিশোধের রশিদ,
  • 3R সাইজের ছবি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে, এবং গ্রে রং এর ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে।

প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজের প্রয়োজন হয়। চলুন এক নজরে দেখে নেই প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

  • আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা মুলকপি,
  • ই-পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম,
  • ই-পাসপোর্ট এর আবেদনের সামারি,
  • ফি পরিশোধের কপি অথবা ব্যাংক ড্রাফট,
  • পাসপোর্ট এর বাহক যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে তার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখাতে হবে,
  • নাগরিক সনদপত্রের বৈধতা।

আশা করি আপনাদের এই বিষয়ে আর কোনো দ্বিধা নেই যে, প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে উপরি উক্ত কাগজগুলো অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক

ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করার জন্য প্রবেশ করুন https://www.epassport.gov.bd/landing? এই লিংকে। এই সাইটে প্রবেশ করার পর Check Status মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার কাছ থেকে Application ID জানতে চাওয়া হবে। এখানে অ্যাপ্লিকেশন আইডি বসানোর পাশাপাশি জন্ম তারিখ উল্লেখ করুন।

 এই দুইটি অপশন পূরণ করার পর I am human নামে একটু অপশন আপনাকে টিক চিহ্ন দিয়ে পূরণ করতে হবে। এখান থেকে Continue বাটনে ক্লিক করলে ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করতে পারবেন।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ই-পাসপোর্ট চেক করার তেমন কোন সুযোগ এখানে নেই। BMET রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে পাসপোর্ট চেক করা সম্ভব। তাই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ই-পাসপোর্ট চেক করা সম্ভব নয়।

অনলাইনে ই-পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

চলুন এক নজরে দেখে নেই অনলাইনে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম:

  • “A Challan” ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করুন,
  • পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা উল্লেখ করুন,
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ এবং ডেলিভারির ধরন উল্লেখ করুন, এখান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফি প্রদানের পরিমাণ দেখা যায়,
  • পাসপোর্ট বাহকের নাম ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করুন, এগুলো অবশ্যই পাসপোর্ট এর সাথে মিল থাকতে হবে। অর্থাৎ এখানে কোন ভুল থাকা চলবে না।
  • এক্ষেত্রে পাসপোর্টের লিখিত নামের বানান এবং আবেদন পত্রে লিখিত নামের বানান এর দিকে লক্ষ্য রাখুন।
  • আপনার পছন্দের ব্যাংক বাছাই করুন, এক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক সিলেেক্ট করতে পারেন। কারণ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিকাশ, রকেট, নগদের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন।
  • পেমেন্ট সম্পন্ন করুন,
  • চালানোর কপি সংগ্রহ করুন।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম গুলো কি কি?

ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা

ই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা যাচাই করার জন্য https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনার ই-পাসপোর্ট এর এর বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। চলুন এক নজরে দেখে নেই ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর কিভাবে ই-পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যায়?

  • পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপে অ্যাপ্লিকেশন আইডি থাকে, প্রথমে এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করুন,
  • পরবর্তী পর্যায়ে জন্ম তারিখ DD-MM-YYYY ফরমেটের টাইপ করুন,
  • এই দুটো কাজ সম্পন্ন হলে পরবর্তী পর্যায়ে নিচের দিকে “ I am Not Robot” নামক একটি অপশন পূরণ করতে হয়। এই অপশনটি টিক চিহ্ন দিয়ে পূরণ করুন।
  • সর্বশেষ পর্যায়ে Check Status এ ক্লিক করলে ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট থেকে প্রচুর পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সম্ভব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • ই-গেট ব্যবহার করে ভ্রমণকারীরা সহজে যাতায়াত করতে পারেন,
  • ই-পাসপোর্ট থাকলে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে ভিসা চেকিং এর জন্য লাইন দেওয়ার দরকার হয় না,
  • দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যায়,
  • ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রাখলে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলে নেয়,
  • যদি কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে এই পর্যায়ে বুঝে নেওয়া সম্ভব,

ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

চলুন এক নজরে দেখে নেই ২০২৪ সালে ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করার জন্য ৪০২৫ টাকা থেকে ৮,৬২৫ ( ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)

১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট করার জন্য ৬,৩২৫ টাকা থেকে ১০,৩৫০ টাকা পর্যন্ত লাগে।

শেষ কথা

ই-পাসপোর্ট এর অনলাইন আবেদন ও ই-পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা যাচাই, দুটো কাজই ঘরে বসে করা সম্ভব। উপরের কাজগুলো সম্পাদন হলে আপনাকে ছবি তোলার জন্য এবং বায়োমেট্রিক্স তথ্য সংগ্রহের জন্য ডাকা হবে। সময় মতো পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এই কাজগুলো সম্পন্ন করুন।

সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলি

১) ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের খরচ 2024 সালে কত টাকা?

উঃ ৫৭৫০ টাকা থেকে ৮০৫০ টাকা প্রয়োজন হবে।

২) ই-পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়?

উঃ সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ই পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

৩) পাসপোর্ট করতে মা-বাবার আইডি কার্ড লাগে কি না?

উঃ যিনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করছেন তার বয়স যদি ১৮ এর নিচে হয় অর্থাৎ আইডি কার্ড না থাকে তাহলে তার মা-বাবার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই পোস্টটি সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিয়ে কোনো গ্যারেন্টি আমরা দিচ্ছি না। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ সম্পূর্ণ আপনার নিজের ঝুঁকিতে নিবেন। এই পোস্টের ফলে হওয়া যেকোনো ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More