জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৪

পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়‌ থেকে যে মহান নেতা আমাদের মুক্তি দিয়েছেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মহান বন্ধু যে নেতা, তিনি শোকাবহ আগস্টের সেই কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তার সাথে আরও প্রাণ হারিয়েছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শোক দিবস পালন করে থাকে।

শোক দিবসের বক্তব্য

বিশেষ এই দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দিন ব্যাপী আলোচনা সভা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন ইত্যাদি। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা এসময় শোক দিবসের বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। সঠিকভাবে শোক দিবসের বক্তব্য প্রদান করার কিছু কৌশল রয়েছে। চলুন সেগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক:

এছাড়াও পড়ুন: নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য দেয়ার নিয়ম ২০২৪

জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়

বাঙালি প্রাণপ্রিয় নেতা এবং স্বাধীনতার অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট নির্মমভাবে ঘাতকেরা হত্যা করে। এই অপূরণীয় ক্ষতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয় কোন কিছু দিয়ে। তাই বাঙালীরা এই দিনে বিশেষ শোক পালন করে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের জন্য। মূলত প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে বাঙালিরা স্মরণ করে। এবং যেহেতু বাঙালিরা তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে এই দিনেই হারিয়েছিলেন তাই ১৫ ই আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

জাতীয় শোক দিবসে আপনি চাইলে সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য পেশ করতে পারেন। চলুন জেনে নেই জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এর নমুনা:

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় সুধী বৃন্দ, আমি সালাম জানাচ্ছি এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ, আমার সহকর্মীদের, এবং আমাকে যারা এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের।

প্রিয় অতিথি বৃন্দ, আমরা সবাই আজ যারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি তারা সবাই দুঃখ এবং ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এসেছি। কারণ এই দিনে আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের রূপকার, গরিব-দুঃখীদের বন্ধু এবং নেতা সর্বোপরি বাংলাদেশের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজকের এই দিনে আমি তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।

উপস্থিত ভাই ও বোনেরা,

বাঙালির ইতিহাসে চরম কলঙ্কময় দিন হল ১৯৭৫ সালের ১৫ ই। কারণ এই দিনে হত্যা করা হয়েছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু কে। তিনে নিজের জীবন বাজি রেখে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বদা লড়াই করে গেছেন। তিনি পাকিস্তানীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাঙালিরা একজোট হলে তাদের আলাদা করা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। বঙ্গবন্ধু শক্ত হাতে কান্ডারী ধরেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের জীবনযাপন করতে পারছি।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি ইউনিয়নের নেতা কে থানার, থানার নেতাকে জেলার, জেলার নেতাকে জাতীয় নেতায় উন্নীত করে দিয়ে গিয়েছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন, “আপনার প্রত্যাশা কি! কয়টি আসনে আপনি জয়ী হবেন বলে মনে করেন?

বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেছিলেন “আমি সত্যিই আশ্চর্য হব যদি আমি দুটি আসনে পরাজিত হই তাহলে।” নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় বঙ্গবন্ধুর দুইটি আসনে পরাজিত হয়েছে। ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৬৭ টি আসলে বিজয়ী হয়েছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি জনমানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ‌বুঝতেন। তার দলের নেতাদের পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতাদের প্রতিও তার ছিল অসাধারণ মমতাবোধ। কিন্তু আমাদের এই প্রাণপ্রিয় নেতা দেশকে স্বাধীন করার কিছু বছরের মধ্যে পরিবারসহ ঘাতকের গুলিতে নিহত হন।

আজকে শোক দিবসে আমাদের একটি অঙ্গীকার করতে হবে, তা হল “শোক হোক শক্তি”। এই শোকের দিনে চোখ থেকে ঝরে পড়া অশ্রুপাত সাক্ষী দেখে আমরা অঙ্গীকার করি যে, আমাদের মহান নেতা যে সোনার বাংলা করার জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন, সেই অঙ্গীকার আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পালন করার চেষ্টা করব। উন্নত বিশ্বের কাছে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে পুরো ধরবো এক অসাধারণ মহিমায়।

সবশেষে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং তার পরিবারের জীবিত এবং মৃত সকল সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। “জয় বাংলা” “জয় বঙ্গবন্ধু” “বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।

জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের বক্তব্য

১৫ ই আগস্ট শোক দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। জাতীয় শোক দিবসের সকল প্রতিষ্ঠান অফিসিয়ালি বন্ধ থাকলেও এদিন সব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রদান, কালো পতাকা উত্তোলনসহ আরো বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পালিত হয়ে থাকে। আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় শোক দিবসের একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আপনারা যদি ভিন্নভাবে বক্তব্য প্রদান করতে চান তাহলে জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের বক্তব্য নমুনা অনুসরণ করুন:

প্রিয় অতিথিবৃন্দ,

আমার সামনে উপবিষ্ট অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সভাপতি, আমার সহকর্মী, এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা অতিথিদের জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন।

বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ এখনো থাকতো নিপীড়িত এবং নির্যাতিত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ যে স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছিলেন তা বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের ‌অন্যতম কারণ। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো এদেশের আপামর জনতা, সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নিজ নিজ জায়গায় হতে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ফলস্বরূপ, স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভম হারিয়েছেন দুই লক্ষ মা ও বোন। এই স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন গুরুত্বের কথা কোন বাঙালি অস্বীকার করতে পারবে না।

সুধীবৃন্দ, আমরা সবাই এখানে দলে দলে উপস্থিত হয়েছি কারণ আজ ১৫ ই আগস্ট, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে শোক দিবস। সকালে আমাদের অনুষ্ঠানের মূল কর্মকান্ড কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা অর্থ নমিত রাখা সম্পন্ন হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন আজকের এই দিনে হত্যা করা হয়েছিল বাঙালি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে। ছোট শিশুর রাসেল ও এই ভয়ানক হত্যাকাণ্ড থেকে বাদ পড়েন নাই। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা আমরা আমাদের অন্তর থেকে কখনোই মুছে ফেলতে পারব না। তাইতো প্রত্যেক বছর এই দিন আসলে আমাদের মন হয়ে ওঠে ভারাক্রান্ত। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল অর্পণের মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এই ১৫ আগস্ট এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা বাঙালি ততদিন মনে রাখবে।

বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতার প্রতি লোভ ছিল না, তিনি চেয়েছিলেন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তাই আমাদের দায়িত্ব হল, স্বাধীন বাংলাদেশের মান বজায় রাখা এবং বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিস্থাপন করা। আমি আর কথা বাড়াতে চাই না। সর্বশেষে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শ্রদ্ধা অর্পণ করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। “জয় বাংলা” “জয় বঙ্গবন্ধু” “বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।

জাতীয় শোক দিবসের সেরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, জাতীয় শোক দিবসে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলনেতারা বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকে। এদিন আপনি চাইলে জাতীয় শোক দিবসের সেরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। বিষয়গুলো হলো:

  • অতিরঞ্জিত কোনো কথা বলবেন না,
  • বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে সালাম দিন এবং বক্তব্যের শুরু শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক এই ধরনের কথাগুলো বলুন,
  • বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য কি কি আত্মত্যাগ করেছেন তা সংক্ষেপে তুলে ধরুন,
  • বক্তব্যের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে হত্যা করা হলো এবং এটি বাংলাদেশের জন্য কতটা শোকের তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করুন,
  • বক্তব্যের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধুর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে এমন ধরনের বক্তব্য দিন।
  • সম্পূর্ণ বক্তব্যতে যাতে আবেগ এবং শোক ফুটে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা

১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোন কোন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল এ সম্পর্কে অনেকে বিস্তারিত জানেন না। ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা প্রদান করার সময় অবশ্যই এই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। ঐদিন হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর তিনজন সুযোগ্য পুত্র: ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শেখ ফজলুল হক মণি, বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলউদ্দীন কে। উল্লেখ্য এই সময় দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। তাই তারা দুই বোন ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব বাসভবন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য করা হয়ে থাকে। এই সময় ওই স্থানে ফাতিয়া পাঠ হয়ে থাকে এবং মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়ে থাকে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শোক দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানমূলক প্রচারিত হয়ে থাকে। এ দিন মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের উদ্দেশ্যে দোয়া মাহফিল এবং শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবসের রচনা লেখার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

শোক দিবসের কবিতা

১) বঙ্গবন্ধুর ছড়া লিখতে

ইতিহাসের পাতায় টিকতে

যেই দিয়েছি হাত,

তার কাহিনী অশ্রু ঝরায়

রাতের পরে রাত।।।

২)আমার সাথে রাতের তারা

গ্রাম বাংলার নিঝুম পাড়া

সবাই দিলো যোগ,

বঙ্গবন্ধুর চলে যাওয়ায়

প্রকৃতির মনে শোক।।।

৩) শোকের থেকে শক্তি নিয়ে

তার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে

লিখছি ছড়া রোজ,

তার মতো প্রাণপ্রিয় এক মহান নেতা

বিশ্ব করে খোঁজ ।।।

৪)বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নাম

এই পৃথিবীর সবাই জানে

দেয় সকলে দাম ,

আপামর জনতার আপন ছিলেন তিনি

বাঙালিরা তার কাছে আজ ঋণী।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১)শোক দিবসের মূল বিষয় কি?

উঃ শোক দিবসের মূল বিষয় হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে শোক পালন করা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা।

২)বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যু বাংলা কত সালে?

উঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ, এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ ই।

৩)১৫ আগস্ট কত জন মারা যায়?

উঃ ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের মোট ১৭ জন নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আরো ৯ জন নিকট আত্মীয় এ দিন শহীদ হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই পোস্টটি সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিয়ে কোনো গ্যারেন্টি আমরা দিচ্ছি না। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ সম্পূর্ণ আপনার নিজের ঝুঁকিতে নিবেন। এই পোস্টের ফলে হওয়া যেকোনো ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More